যদি আপনার এই মূহূর্তে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করে ও কারুর সঙ্গে কথা বলতে চানঃ এখানে ক্লিক করুন৷
আমাদের নিজেদের জীবন শেষ করার ক্ষমতা রয়েছে ৷ প্রতিবছর এক মিলিয়ন মানুষ এই পথ বেছে নেয়৷ এমনকি যে সব সমাজে আত্মহত্যা বেআইনী বা নিষিদ্ধ সেখানেও মানুষ আত্মহত্যা করে৷
যাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয় তাদের মনে হয় আর কোনো পথ নেই ৷ সেই মুহুর্তে মৃত্যুই তাদের জগতের বর্ণনা হয়ে ওঠে এবং এদের আত্মহননের এই সুতীব্র ইচ্ছাশক্তিকে কখনওই অগ্রাহ্য করা উচিত না- এই অনুভূতি সত্যিকার, শক্তিশালী ও তাত্ক্ষনিক৷ জাদুবলে এটা সরিয়ে তোলা যায় না৷
তবে একথাও সত্যি যেঃ
- প্রায়ই সাময়িক সমস্যার স্থায়ী সমাধান আত্মহত্যা হয়
- আমরা যখন বিষন্ন বোধ করি তখন বর্তমান মুহুর্তের খুব সর্ঙ্কীর্ন প্রেক্ষাপটে আমরা জীবনটাকে দেখি৷ এক সপ্তাহ বা এক মাস পর হয়ত সবকিছু সম্পূর্ণ অন্যরকম দেখাবে
- যারা একসময় আত্মহত্যার কথা ভেবেছিল তাদের মধ্যে বেশীর ভাগ আজ বেঁচে আছে বলে খুশী ৷ তারা বলে তারা জীবন শেষ করে দিতে চায়নি -শুধু যন্ত্রণাটা দূর করতে চেয়েছিল৷
সবচেয়ে জরুরী কাজ, কারুর সঙ্গে কথা বলা৷ যাদের আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা হয় তাদের একা সব সামলানোর চেষ্টা করা উচিত ন া ৷ তাদের এখনই সাহায্য চাওয়া উচিত৷
- বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে কথা বলুন ৷ শুধুমাত্র পরিবারের সদস্য বা বন্ধু কিংবা সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলে অনেকটা আশ্বস্ত হওয়া যায় ৷
- একজন বিফ্রেন্ডারের সঙ্গে কথা বলুন৷কয়েকজন পরিবার বা বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে পারে না ৷ কয়েকজনের অচেনা লোকের সঙ্গ কথা বলা সহজ মনে হয়৷ সারা পৃথিবীতেবিফ্রেন্ডারদের কেন্দ্র আছে, এদের স্বেচ্ছাসেবীদের কথা শোনায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ ফোনে কথা বলা কষ্টকর মনে হলে ইমেল পাঠানো যায় ৷
- ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন৷ যদি কেউ দীর্ঘসময় যাবত বিষণ্নবোধ করে বা আত্মহত্যার ইচ্ছা থাকে সে হয়ত নিদানিক বিষণ্নতাবোধে ভুগছে ৷ এটা এক চিকিত্সাগত পরিস্থিতি, রাসায়নিক ভারসাম্য হারানোর ফলে এমন হয় এবং ওষুধের প্রেসক্রিপশন এবং থেরাপির সুপারিশ করে ডাক্তার এর চিকিত্সা করতে পারেন৷ আমাকে আরো জানান ৷
জীবনের পথে ‘অগ্রসর হওয়ায়’, সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে তবে ঐ সময়ে কি ঘটছে তাও গুরুত্বপূর্ণ৷ কারুর আত্মহননের ইচ্ছা হলে তক্ষুনি ঐ অনুভূতির ব্যাপারে কথা বলা উচিত৷
যদি এইমাত্র আপনার আত্মহত্যার ইচ্ছা হয় ও কারুর সঙ্গে কথা বলতে চানঃ এখানে ক্লিক করুন